আমাদের মাস্টার
আমাদের মাস্টার হাতে নি’ ডাস্টার
আসিতেন রোজ,
পড়াটার সাথে, খাই কি রাতে
রাখিতেন খোঁজ।
ত্যাগ করে ভাব ডাট পরিতেন হাফ শার্ট
সাদা তার রং,
জ্ঞান দানে স্মার্ট লেকচার ফিটফাট
না ছিলো ঢং।
মাথায় হাত রেখে মুখ খানি দেখে
বুঝিতেন রোগ,
কোন ছেলে কিসে হতাশায় মিশে
পারেনা যোগ।
ডেকে দপ্তরে শেখায় ঢক করে
বলিতেন বাপ,
যদি না পারো বলি আবারো
লিখে নাও রাফ।
শিখতে তো হবে পারে আজ সবে
রও যদি পিছ,
জীবনটায় শেষে গরীবের বেশে
মাথা হবে নিচ।
স্যারদের মনে খাই, কভু দেখি নাই
টাকা চাই টাকা,
শিখিয়ে দিয়ে বাড়ি যায় নিয়ে
টাকা এক ঝাকা।
সেই সব মাস্টারি হয়ে হিসটরি
সোনায় মুড়ে,
হাতড়ে খুঁজি আজ মাস্টারের সেই সাজ
জগত জুড়ে।
সোনালী সেই ঢেউ জানে আজ কেউ কেউ
মধুর বাঁধন,
ছাত্র ও শিক্ষক ভক্তির নাম ডাক
আনে কাঁদন।
চেনা সেই মুখে শিখেছি সুখে
পড়া লেখা,
বিনয়ে শির হাঁটিতাম ধীর
রাস্তায় দেখা।
অনীল শ্যামা স্যার কাদের বীণা আর
স্যার রণজিৎ,
আজিজ শহিদুল কোথাও নাহি ভুল
গড়ে দেন ভিত।
জীবন জগদীশ কিরণ অহর্নিশ
আর ইসরাইল,
দিতেন নীতি জ্ঞান তরুণ ও বিধান
রোগের ফাইল।
প্রমথ রঞ্জন আরজানের গুঞ্জন
ছিলো মুখে,
হাসির মুখ দেখে স্বপ্নটা এঁকে
শিখতাম সুখে।
প্রতাপের এক দুই হৃদয়ের ভূমি ছুঁই
মিশে সাথে,
শেখাতেন ইংলিশ কম্পিউটার চিপস
হাতে হাতে।
পরীক্ষার আগে পূত অনুরাগে
যেতেন বাড়ি,
শুনিতে পড়া গদ্য না ছড়া
দিতেন আড়ি।
যদি কেউ ঘুমায় আড়ির ও সময়
ডেকে বাপ মায়,
বলে যেতেন রোজ ছেলের নেননা খোঁজ
হায়রে হায় হায়।
এঁরা সেই মাস্টার হাতে নি ডাস্টার
আসিতেন রোজ,
স্কুল ও বাড়ি পেতে রোজ আড়ি
দেন স্বীয় ডোজ।
—সমাপ্ত—
1190total visits,4visits today