ধর্ষকের নাটের গুরু

গাছের যদি না রয় গোড়া
কেমনে ভরে ফুলে,
ধর্ষণ প্রথা থাকছে বেঁচে
সেই কথাটি ভুলে।

পদ্মা নদীর শক্তি যেমন
ফারাক্কার ঐ বাঁধে,
খরা কিংবা ভরা হবে
দাদার খুশি সাধে।

ধর্ষণকারীর খুঁটি কোথায়
কোথায় গাছের গোড়া,
চেপে সেসব ধর্ষকেরা
হচ্ছে তেজী ঘোড়া।

জীনে নাকি পেত্নী তাহার
সাহস দেবার খুঁটি,
উপড়ে ফেলো সবাই ধরে
ছত্র ছায়ার টুটি।

ধর্ষকেরা নয়রে মানুষ
কারো ভাই ও ছেলে,
নরপশু সারাজীবন
মরুক পঁচে জেলে।

আগুন ছাড়া হয়না ধোঁয়া
বিনা মেঘে বৃষ্টি,
খুঁজলে পাবে রাঘব বোয়াল
উল্টে যাবে দৃষ্টি।

লেলিয়ে দেয় মনিব যেমন
মরা পশুর লাশে,
কুকুর যেনো মাংস খেয়ে
শক্তি নিয়ে আসে।

পাহারাটা দিবে রাতে
আঙ্গিনাতে জেগে,
কুকুর দোষে তাইতো মনিব
যায়না কভু রেগে।

কুকুর কি আর নিজের শখে
সকল কর্ম করে,
বাইরে এসে তাইতো করে
শেখায় যাহা ঘরে।

ছিছি বলেই ক্ষান্ত হবে
হৃদয় বিবেক বানে,
সেসব খবর নরপশু
আগে হতেই জানে।

তাইতো এসব কুকুর গুলোর
ক্ষান্ত হয়না নেশা,
ধর্ষণ করা নিয়মিত
হচ্ছে তাদের পেশা।

দিন দুপুরে তাজা প্রাণে
দিচ্ছে নরক কালি
শেষ নাই এই নরপশুর
দিলেও হাজার গালি।

ভাইয়ের সামনে বোনকে ধরে
বাবার সামনে মেয়ে,
স্বামীর সামনে প্রাণের প্রিয়া
যাচ্ছে সদাই খেয়ে।

রাজাকারের মতো করে
ধরে এসব বংশ,
করবে যেদিন শিকড় সহ
চিরতরে ধ্বংস।

ভয় পাবে সব সুপ্ত পাপী
ধর্ষণ করার কথায়,
শান্তি আসবে সমাজ মাঝে
শান্তি মানবতায়।
—সমাপ্ত—
ডুমুরিয়া,খুলনা।

583total visits,2visits today

এস এম মঞ্জুর রহমান

Leave a Reply