মানবতার লাজ

মানবতার লাজ

রোজ রাতে মোর চোখে ভাসে
আবছা একটা মুখ,
রাখছে যাকে আড়াল করে
হাজার রকম দুখ।


ধূলা বালি ময়লা মাখা
মাথায় লম্বা চুল,
ঘাড়টা সহ মুখের পরে
বাতাসে খায় দুল।


পোশাক খানির পরে তাহার
ময়লা তেলের চর,
রাত্রি যেথায় নামে যখন
সেথায় বানায় ঘর।


মুখে আছে হালকা দাড়ি
অযত্নে তা লাল,
মোচে মাখা পঁচা খাবার
করুণ তাহার হাল।


মাঝে মাঝে বাজার যেতে
হঠাৎ পড়ে চোখ,
ডাস্টবিন হতে খাবার কুড়ায়
খাচ্ছে দেখি লোক।


কাঁধের পরে বস্তা থাকে
কী জানি সব রাখে,
হঠাৎ করেই কাজের মাঝে
মনে পড়ে তাকে।


মানুষ সে সব খাবার গুলো
নষ্ট করে রোজ,
খিদের জ্বালায় ময়লার মাঝে
তাহাই করে খোঁজ।


মুখ তুলে সে চায় না কোথাও
খায় যাহা সে পায়,
একটা কুকুর তার খাবারে
ভাগ বসায়ে যায়।


হায় ভুবনের দামী খাবার
কোরমা পোলাও দই,
আলোকসজ্জায় ডাইনিং টেবিল
তার জীবনে কই?


কেউ না কভু মায়া করে
ডাকলো তাকে ভাই,
উদার পুরে খাবার খাবে
চলো বাড়ি যাই।


চলো তোমার ময়লা শরীর
গোসল দেবে আজ,
তাকে নিয়ে ভাবতে সেসব
হয়তো লাগে লাজ।


হতো যদি রাজার কুমার
অর্থ বিত্ত সাথ,
ময়লা মাঝে থাকলে পড়ে
টানতো সবাই হাত।


মানবতার কার্য করে
তাক লাগাত দেশ,
এই দুখিটার জন্য কিন্তু
চেষ্টা হেথায় শেষ।


ধরতে তাহার হাতটা কভু
আসবে না সমাজ,
তারি জন্য মানবতায়
কেউ পাবে না লাজ।
—সমাপ্ত–

893total visits,3visits today

এস এম মঞ্জুর রহমান

Leave a Reply