রাজাকারের স্বীকারোক্তি
রোজ তো দাদু গল্প বলো অল্প বেশি হাসি,
মুক্তিযুদ্ধের কথায় কেনো মুখ চেপে দাও কাশি?
লিমার দাদু গল্প বলে
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে,
গল্প নাকি শেষ হয়
তাদের চোখের অশ্রু দিয়ে।
গল্পে থাকে পাকিস্তানের নরপশু
হায়না,
সেসব গল্পে কোথায় নাকি
হাসির কিছুই রয়না।
তবু তাদের ভালো লাগে
শুনতে রাজাকারে,
কেমন করে বাঙ্গালিদের ধরে
ধরে মারে।
দাদু তুমি কাশছো আবার
হাসছো হাতটি চেপে,
কেমনে এসব পারো তুমি
বুক যে ওঠে কেঁপে।
তবে কী ঐ বোবা
লালু যা বলে তাই
ঠিকই,
তোমার নামটি কসাই ছিলো
তখন চারি দিকই।
ধরায় দিতে বাঙ্গালিদের যুদ্ধে
যাঁরা যেতো,
জানি তোমার শুনতে এসব
লাগছে ভীষণ তেতো।
তেতো কীরে আসল কথা
শোনরে তবে বলি,
আমরা তখন পাকিস্তানের ভক্ত
হয়ে চলি।
জিততো যদি পাকিস্তানি হারত
এই বাঙ্গালি,
কেউ দিতো না আমায়
তখন রাজাকারের গালি।
রাজত্বটা আসতো হাতে আমরা
থাকতাম বীরে,
বাঙ্গালিরা ভুলে যেতো আস্তে
এসব ধীরে।
ছিছিছিছি দাদু তুমি এতই
ছিলে পাজি,
স্বজাতিতে বেঈমানীটায় কেমনে হলে রাজি!!
স্বাধীন দেশে বুক ফুলিয়ে
চলো কেমন করে?
তোমায় যদি জেলে ঢুকায়
সরকারি লোক ধরে!
হা হা হা শোনরে
দাদু শোন আজকে তোকে
বলি,
সেসব কাজের প্রমান র’লে এমনি কি
আর চলি।
হাহা দাদু আর হেসোনা
লালু সাক্ষী দিছে,
তুমি তাহার জিভ কেটেছো
কোর্টে প্রমান নিছে।
সাক্ষী আছে গাঁয়ের মাটি
বদ্ধ ভূমির হাঁড়ে,
সাক্ষী গাঁয়ের ভাঙ্গা বাড়ি
সবার নজর কাড়ে।
সাক্ষী আছে ভারত ভূমের
রিফুজি তার ফুপি,
তুমি নাকি করতে এসব
মাথায় দিয়ে টুপি।
জিভ কেটেছো বাবা মাকে
করলে যখন জবাই,
লিখে লিখে বলছে সবি
জানছে এখন সবাই।
ঘৃণা জানাই তোমার প্রতি
ঘৃণা তোমার কাজে,
তোমার বংশে জন্মে আজি
মরছি ঘৃন্য লাজে।
তোমার প্রতি ঘৃণা সবার
ঘৃণা জানায় মাটি,
এই ভূমিতে হায়না এনে
গড়েছিলে ঘাঁটি।
687total visits,2visits today